বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) যানবাহন চালানোর জন্য লাইসেন্স প্রদান করে। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে, আবেদনকারীদের অবশ্যই একটি শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (Learner's Driving License) অর্জন করতে হবে।
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স কি?
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স হলো একটি অনুমতিপত্র যা একজন ব্যক্তিকে মোটরযান চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য অনুমোদন দেয়। এটি একজন অভিজ্ঞ ড্রাইভারের তত্ত্বাবধানে যানবাহন চালানোর সুযোগ করে দেয়।
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের সুবিধা:
- মোটরযান চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ: শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স একজন ব্যক্তিকে নিরাপদে মোটরযান চালানোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়।
- আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি রাস্তায় গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে, যা তার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে।
- স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনের যোগ্যতা অর্জন: শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনের একটি পূর্বশর্ত।
শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনের পদ্ধতি:
- অনলাইনে আবেদন: বিআরটিএ-এর ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- আবেদনপত্র
- ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি
- স্কুল সার্টিফিকেটের ফটোকপি
- ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- আবেদন ফি
- পরীক্ষা:
- লিখিত পরীক্ষা
- মৌখিক পরীক্ষা
- ব্যবহারিক পরীক্ষা
উত্তীর্ণদের জন্য:
- পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হবে।
- লাইসেন্সের মেয়াদ থাকবে ৬ মাস।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) কার্ডের ফটোকপি
- টিন সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
- মেডিকেল সনদপত্র (নির্ধারিত ফর্মে)
- আবেদন ফি
প্রক্রিয়াকরণের সময়:
- অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে, ৭-১০ কর্মদিবস
- অফলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে, ১৫-২০ কর্মদিবস
ফি:
- অনলাইনে: ৫০০ টাকা
- অফলাইনে: ৬০০ টাকা
বৈধতা:
- শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স ৬ মাসের জন্য বৈধ
পরীক্ষা:
- ৬ মাসের মধ্যে লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে
- উত্তীর্ণ হলে স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন
উপসংহার:
বিআরটিএ শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স নতুন যানবাহন চালকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
0 Comments: