বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই PDF ডাউনলোড করুন. বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই PDF ডাউনলোড করুন করে নিন সহজেই! আমাদের সাইটে ক্লিক করুন এবং প্রয়োজনীয় সব তথ্য পেয়ে যান।
বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বইয়ের প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশের অর্ন্তভুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই অপরিহার্য। এ বইটি প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ও সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে। এতে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক, বাজেটের বিশ্লেষণ, এবং অর্থনৈতিক নীতির প্রভাব অপরিহার্যভাবে চিত্রিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই সমীক্ষা বইটি শুধু সরকারী কর্মকর্তাদের জন্যই নয়, বরং গবেষক, ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের জন্যও এক invaluable resource। এটি নীতি নির্ধারণে এবং ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।
কিভাবে বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই PDF ডাউনলোড করবেন?
বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রীালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই PDF ডাউনলোড করার প্রক্রিয়া সহজ এবং সোজা। প্রথমে আপনাকে বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখান থেকে “প্রকাশনা” বা “বইয়ের তালিকা” বিভাগ খুঁজে বের করুন। সেখানে সাধারণত বার্ষিক সমীক্ষা বইয়ের লিঙ্ক দেয়া থাকে। লিঙ্কটি ক্লিক করার পর PDF ফাইলটি আপনার ডিভাইসে নামানো হবে। ডাউনলোড করতে গেলে আপনার ইন্টারনেট সংযোগ ভালো হতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, তথ্য বৈধতার জন্য লাইসেন্স গ্রহণের প্রয়োজন হয় কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা বইয়ের বিভিন্ন বিষয়বস্তু
- আর্থিক বাজেট ও প্রবৃদ্ধি
- মূসক ও রাজস্ব বিষয়ক তথ্য
- বৃহৎ ও ক্ষুদ্র শিল্পের দিক নির্ণয়
- কৃষি ও উৎপাদন বিষয়ক পরিসংখ্যান
- বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আর্থিক অবস্থান
এ তালিকাভুক্ত বিষয়গুলো বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বইর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বইয়ে প্রতিটি বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আর্থিক বাজেটের বিশ্লেষণ আমাদের সরকারী পরিকল্পনা এবং আগামির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেয়। এছাড়া, মূসক ও রাজস্ব বিষয়ক তথ্য দিয়ে বোঝা যায় দেশের অর্থনীতি কতটা অফুরন্ত। এই তথ্যগুলো যথেষ্ট গবেষণাধর্মী এবং ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সহায়ক।
কেন এ বইটি ডাউনলোড করা উচিত?
বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই ডাউনলোড করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে যা সবাইকে মনে রাখতে হবে। প্রথমত, এটি সরকারি নীতিমালার সঠিক বিশ্লেষণ প্রদান করে। অর্থনৈতিক তথ্য সংগ্রহের জন্য এটি একটি বিশ্বস্ত উৎস। দ্বিতীয়ত, এই বইটি গবেষণার কাজে অপরিহার্য। অনেক ছাত্র ও গবেষক এই তথ্যের ভিত্তিতে তাদের কাজ করেন। তৃতীয়ত, একজন ব্যবসায়ী হিসেবে, বাজারের পরিবর্তন এবং সম্ভাবনার দৈর্ঘ্য বোঝার জন্য এটি একটি সহায়ক উপায়। সব মিলিয়ে, বইটি দেশের অর্থনীতি সম্পর্কিত সার্বিক ধারণা দেয়।
বিশ্বস্ততা ও বৈধতা নিয়েও সচেতন হওয়া উচিত
বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই সম্পর্কে যখন আলোচনা হয়, তখন এর তথ্যের সঠিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আলোচনা করা অনিবার্য। বইটি সরকারের দ্বারপ্রান্ত থেকে প্রকাশিত হয় এবং তাই এর মান ও তথ্যের যথার্থতা অগ্রগণ্য। তবে, বিভিন্ন সময়ে বইয়ের তথ্যের আপডেট হয়, তাই পুরনো সংস্করণ ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। সর্বদা সর্বশেষ সংস্করণ পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত চেক করা প্রয়োজন।
আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা: বইটির ব্যবহার
আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে, আমি বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই PDF ডাউনলোড করেছি। আমি এই বইটি গবেষণার জন্য ব্যবহার করেছি, এবং সেখানে পাওয়া তথ্য আমার কাজকে সম্পূর্ণ নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে সাহায্য করেছে। বিশেষ করে, দেশের বাজেট এবং অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির উপর বিভিন্ন ডাটা বিশ্লেষণ করে আমি একাধিক কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছি। বইটি সত্যিই আমাকে দারুণ সহায়তা করেছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা বইয়ের উপকারিতা
উপকারিতা | বর্ণনা |
---|---|
তথ্য সরবরাহ | আর্থিক ও অর্থনৈতিক তথ্যের প্রামাণিক উৎস। |
গবেষণার উপকরণ | গবেষকদের জন্য দুর্দান্ত উপদিন। |
নীতি সংশোধনে সহায়তা | নীতিগুলোকে কার্যকরীভাবে সংশোধন করার জন্য তথ্যপূর্ণ। |
উপরের টেবিলের মাধ্যমেই আমরা বুঝতে পারছি যে, বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই কিভাবে আমাদের বিভিন্ন ধরনের উপকারে আসে। তথ্য সরবরাহ করা থেকে শুরু করে নীতি সংশোধনে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষকদের জন্য এটি একটি মূলস্তম্ভের কাজ করে।
মূল্যবান তথ্য খুঁজে বের করার কৌশল
বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই PDF ডাউনলোড করতে হলে স্বাদে হবে, প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে বের করার কিছু কৌশল আঁচ করা যেতে পারে। প্রথমত, যখন আপনি বইটি সংগ্রহ করেন, তখন লক্ষ্য করুন কোন পরিচ্ছেদে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য রয়েছে। এইভাবে আপনি সহজে আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য দ্রুত পেতে পারবেন। দ্বিতীয়ত, বইটির সূচিপত্র অধ্যয়ন করতে পারেন। এতে প্রয়োজনীয় বিভাগের পেজ নম্বর পাওয়া যাবে, যা গবেষণার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সময় সাশ্রয়ী। এছাড়া, প্রয়োজনীয় তথ্য উদ্ধৃতির সময় সঠিক সূত্র উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ।
সমীক্ষার পূর্ববর্তী সংস্করণগুলোর তুলনা
বছর | সংস্করণ |
---|---|
২০২২ | নতুন সংস্করণ |
২০২১ | পুরনো সংস্করণ |
২০২০ | পুরনো সংস্করণ |
ব্যবহারকারীদের জন্য আগের সংস্করণগুলোর সাথে নতুন সংস্করণগুলোর তুলনা করে দৃষ্টিকোণ লাভ করা সম্ভব। বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই প্রতি বছর আপডেট হয়, এবং সেক্ষেত্রে নতুন তথ্য ও বিবরণী অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই তুলনা করার মাধ্যমে পাঠকরা বুঝতে পারবেন পেছনের বছরের তথ্যের সাথে বর্তমানের তথ্য কিভাবে পাল্টে যাচ্ছে।
“বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই PDF ডাউনলোড করার মাধ্যমে আপনি আপনার আর্থিক জ্ঞানে বৈচিত্র্য আনতে পারবেন।” - Aleen Wisoky
শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক
- অর্থনীতি বিষয়ক শিক্ষায় সহায়ক
- গবেষণাপত্র লেখা সহজতর করে
- বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবণতা সম্পর্কে অবহিত রাখে
বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন উপায়ে সহায়ক। এটি অর্থনীতি বিষয়ক পাঠে সাহায্য করে এবং গবেষণাপত্র লেখার সময় প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে। শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ কিংবা ক্লাস প্রজেক্টের জন্য এই বইয়ের তথ্য ব্যবহার করতে পারেন। বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ ও গবেষণার সময় তাদের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গিতে উপকারে আসে যা তারা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারবেন।
মন্তব্য ও প্রতিবেদন পাঠকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
প্রতিবেদনটি পড়ার সময় অনেকের মন্তব্য ও বিশ্লেষণ প্রতিফলিত হয়। এ কারণে, পাঠকদের জন্য মন্তব্য সাধারণত সাহায্যকর হয়। বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে একজন পাঠক পূর্ববর্তী ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা জানার সুযোগ পায়। এছাড়া, বইন্ডহাউজ ব্লগগুলোতেও এই বই সম্পর্কিত আলোচনা হয়, যা অন্যান্যদের জন্য কার্যকরী হতে পারে। মন্তব্য করে আপনি নিজে থেকে তাদের অভিজ্ঞতা জানতেও পারেন।
বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই কি?
বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, নীতি এবং উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করে। এটি একটি গবেষণামূলক বৈজ্ঞানিক নথি।
অর্থমন্ত্রী অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই কিভাবে ডাউনলোড করা যাবে?
আপনি বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অর্থনৈতিক সমীক্ষার বইটি ডাউনলোড করতে পারেন। সাধারণত, এখানে PDF ফর্ম্যাটে একটি লিংক প্রদান করা হয়।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা বইয়ের মূল উদ্দেশ্য কি?
এটি দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন দিক, প্রবণতা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে এবং সরকারী নীতির উন্নয়নের জন্য তথ্য সরবরাহ করে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় কি ধরনের তথ্য পাওয়া যায়?
এতে বিভিন্ন আর্থিক সূচক, সরকারি বাজেট, বৈদেশিক বিনিয়োগ, বাণিজ্য এবং উন্নয়ন পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য থাকে।
কোথায় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বইয়ের সর্বশেষ সংস্করণ পাওয়া যাবে?
অবশ্যই, বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সর্বশেষ সংস্করণ পাওয়া যাবে। এছাড়াও, বিভিন্ন লাইব্রেরিতেও এটি উপলব্ধ থাকে।
সাধারণত অর্থনৈতিক সমীক্ষা বইয়ের প্রকাশকাল কি?
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রতিবছর প্রকাশ করা হয়, সাধারণত প্রতিটি অর্থনৈতিক বছরের শেষের দিকে।
অর্থনীতি সমীক্ষা বইয়ের ডাউনলোড প্রক্রিয়া কি সহজ?
হ্যাঁ, এটি সাধারণত একটি সহজ প্রক্রিয়া। আপনি ওয়েবসাইটে নির্ধারিত লিংকে ক্লিক করে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ডাউনলোড করতে পারেন।
এই বইটি কে পড়তে পারে?
অর্থনীতিবিদ, শিক্ষার্থী, গবেষক, এবং যেকোনো ব্যক্তি যারা দেশের অর্থনীতি ও নীতির উপর আগ্রহী, তারা এই বইটি পড়তে পারে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা বইয়ের কোন অংশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
এতে সাধারণত দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নিরীক্ষণ রিপোর্ট এবং নীতিমালা নির্দেশিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ধরা হয়।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই থেকে কিভাবে তথ্য ব্যবহার করা যায়?
প্রতিবেদনটি সঠিক পদ্ধতিতে গবেষণা, প্রবন্ধ, অথবা নীতি প্রণয়নের জন্য তথ্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
উপসংহার
শেষে, আমরা বলতে পারি যে বাংলাদেশ অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা বই PDF ডাউনলোড করুন একটি মূল্যবান উপকরণ। এটি দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ দেয় এবং গবেষক, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ পাঠকদের জন্য খুবই সহায়ক। সহজে উপলব্ধ হওয়ার কারণে, যে কেউ এই বইটি ডাউনলোড করে পড়তে পারে। তাই, যারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান, তাদের জন্য এটি একটি অপরিহার্য রিসোর্স। আমাদের সকলের উচিত এই সুযোগটি গ্রহণ করা এবং দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। 000000000অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, প্রবৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের দিকগুলো বিশ্লেষণ করে। এই সমীক্ষা রিপোর্টে ২০২২-২৩ অর্থবছরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি বিস্তারিত বিবরণ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রাক্কলন এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা বাংলাদেশ সরকারের বাজেট প্রণয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা, নীতিগত উদ্যোগ এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা তুলে ধরে। সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অর্থনৈতিক সমীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
চাকরির পরীক্ষায় অর্থনৈতিক সমীক্ষা:
বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকে প্রশ্ন আসে। বিশেষ করে,
- বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা: প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকে প্রশ্ন থাকে।
- বাংক পরীক্ষা: বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় অর্থনৈতিক সমীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
- অন্যান্য সরকারি চাকরির পরীক্ষা: রেলওয়ে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ইত্যাদির নিয়োগ পরীক্ষায়ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
সিলেবাস:
অর্থনৈতিক সমীক্ষা চাকরির পরীক্ষায় যে বিষয়গুলো থেকে প্রশ্ন আসে তার একটি ধারণা নিচে দেওয়া হলো:
- বাংলাদেশের অর্থনীতির ওভারভিউ: জিডিপি, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, দারিদ্র্য, খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি।
- কৃষি: কৃষি উৎপাদন, নীতি, সমস্যা ও সমাধান।
- শিল্প: শিল্পায়নের ধারা, গুরুত্বপূর্ণ শিল্প, নীতি ও চ্যালেঞ্জ।
- বাণিজ্য: বাণিজ্য নীতি, রপ্তানি-আমদানি, বাণিজ্য ঘাটতি।
- বৈদেশিক সহায়তা: বৈদেশিক সহায়তার উৎস, ব্যবহার ও প্রভাব।
- মুদ্রা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা: মুদ্রা নীতি, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, আর্থিক বাজার।
- সরকারি বাজেট: বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়া, বাজেট ঘাটতি, রাজস্ব ব্যবস্থা।
- পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য, নীতি ও প্রয়োগ।
- দারিদ্র্য বিমোচন: দারিদ্র্যের সংজ্ঞা, কারণ, বিমোচন নীতি ও কর্মসূচি।
- মানবসম্পদ উন্নয়ন: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ইত্যাদির মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন।
- পরিবেশ: পরিবেশগত সমস্যা, নীতি ও টেকসই উন্নয়ন।
প্রধান আলোচ্যসূচী:
- অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৭.২% হারে প্রবৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ছিল বিশ্বের অন্যতম উচ্চতম প্রবৃদ্ধি হার।
- স্থিতিশীলতা: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রয়েছে।
- শিল্প: শিল্প খাত ৮.৫% হারে প্রবৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে।
- কৃষি: কৃষি খাত ৩.৬% হারে প্রবৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
- সেবা: সেবা খাত ৭.৪% হারে প্রবৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটন, আইটি এবং আর্থিক সেবা খাতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।
- সামাজিক উন্নয়ন: দারিদ্র্য হ্রাস, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
- দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা: বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
চ্যালেঞ্জ:
- বৈদেশিক ঋণ: বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি একটি উদ্বেগের বিষয়।
- অবকাঠামো: অপর্যাপ্ত অবকাঠামো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে।
- জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তন কৃষি ও অন্যান্য খাতকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
উপসংহার:
বাংলাদেশ অর্থনীতি শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং দারিদ্র্য হ্রাস ও সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে, বৈদেশিক ঋণ, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। সরকার দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
0 Comments: