দারাজের অফার !!! সারাদেশ !!! ডেলিভারি চার্জ ফ্রি !!!
1
2
3
4
5
6
7
8
9
10

18‏/09‏/2024

বিদেশে যাওয়ার জন্য ইংলিশ ম্যারিজ সার্টিফিকেট কিভাবে বানাবেন?

বিদেশে যাওয়ার জন্য ইংলিশ ম্যারিজ সার্টিফিকেট কিভাবে বানাবেন?

বিদেশে যাওয়ার জন্য ইংলিশ ম্যারিজ সার্টিফিকেট প্রয়োজন হতে পারে এমন অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন- ভিসা আবেদন, ব্যাংক একাউন্ট খোলা, বা অন্য কোন আইনি কাজের জন্য। এই নিবন্ধে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব যে, আপনি কীভাবে সহজে এবং সঠিকভাবে ইংলিশ ম্যারিজ সার্টিফিকেট তৈরি করতে পারেন।

কেন ইংলিশ ম্যারিজ সার্টিফিকেট প্রয়োজন?

  • ভিসা আবেদন: অনেক দেশে ভিসা আবেদনের সময় বিবাহিত দম্পতিদের জন্য ইংলিশ ম্যারিজ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
  • ব্যাংক একাউন্ট খোলা: অনেক দেশে যৌথ ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য বিবাহের সনদ প্রয়োজন হয়।
  • সম্পত্তি কেনা বিক্রয়: বিদেশে সম্পত্তি কেনা বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও এই সার্টিফিকেট প্রয়োজন হতে পারে।
  • অন্যান্য আইনি কাজ: বিদেশে অন্যান্য আইনি কাজের জন্যও এই সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়তে পারে।

ইংলিশ ম্যারিজ সার্টিফিকেট তৈরির পদ্ধতি

1. বাংলাদেশের আদালতে বিবাহ নিবন্ধন:

  • প্রথম পদক্ষেপ: আপনার স্থানীয় আদালতে গিয়ে বিবাহ নিবন্ধনের জন্য আবেদন করুন।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
  • উভয়ের জন্ম নিবন্ধন
  • পাসপোর্টের ফটোকপি
  • দুইজন সাক্ষীর স্বাক্ষরিত শপথনামা
  • অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (আদালয় ভেদে পরিবর্তিত হতে পারে)
  • ফি পরিশোধ: নির্ধারিত ফি পরিশোধ করুন।
  • নিবন্ধন: আদালত আপনার বিবাহ নিবন্ধন করবে এবং একটি নিবন্ধন সনদ দেবে।

2. ইংরেজি অনুবাদ এবং নোটারি পাবলিকের স্বাক্ষর:

  • অনুবাদ: বাংলাদেশি বিবাহ নিবন্ধন সনদটিকে একজন স্বীকৃত অনুবাদকের মাধ্যমে ইংরেজিতে অনুবাদ করান।
  • নোটারি পাবলিক: অনুবাদকৃত সনদে একজন নোটারি পাবলিকের স্বাক্ষর এবং সিল করান।

3. অ্যাপোস্টিল:

  • আবেদন: বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাপোস্টিলের জন্য আবেদন করুন।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
  • অনুবাদকৃত এবং নোটারি পাবলিকের স্বাক্ষরিত সনদ
  • অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • ফি পরিশোধ: নির্ধারিত ফি পরিশোধ করুন।
  • অ্যাপোস্টিল: আপনার সনদে অ্যাপোস্টিল লাগানো হবে।

4. বিদেশের দূতাবাসে সনদ:

আবেদন: আপনার গন্তব্য দেশের বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাসে গিয়ে সনদ স্বীকৃতির জন্য আবেদন করুন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • অ্যাপোস্টিল করা সনদ
  • অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
  • ফি পরিশোধ: নির্ধারিত ফি পরিশোধ করুন।
  • সনদ: দূতাবাস আপনার সনদ স্বীকৃতি দেবে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

  • সময়: সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিতে কিছু সময় লাগতে পারে।
  • খরচ: এই প্রক্রিয়ার জন্য কিছু খরচ হবে।
  • আইনজীবীর সাহায্য: জটিলতা এড়াতে একজন আইনজীবীর সাহায্য নিতে পারেন।
  • দেশভেদে পার্থক্য: বিভিন্ন দেশের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।

উপসংহার:

বিদেশে যাওয়ার জন্য ইংলিশ ম্যারিজ সার্টিফিকেট তৈরি করা একটি জটিল প্রক্রিয়া হতে পারে। তবে উপরের নির্দেশাবলী অনুসরণ করে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দিয়ে আপনি সহজেই এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।

0 Comments:

no-style

amar boi app