বাংলাদেশে বিবাহ নিবন্ধনের জন্য কোন নির্দিষ্ট সময়সীমার আগে থেকে আবেদন করার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ১৯৭৪ অনুসারে, বিবাহের 30 দিন পর্যন্ত নিবন্ধন করা যেতে পারে।
বিবাহ নিবন্ধনের জন্য আবেদনের নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই। তবে, বিবাহের ৩০ দিন পূর্বে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কারণ:
- নোটিশ প্রকাশ: আবেদন করার পর, নিবন্ধক ৩০ দিনের জন্য একটি নোটিশ প্রকাশ করবেন। এই নোটিশের মাধ্যমে, যে কেউ বিবাহের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে পারবে।
- আপত্তি যাচাই: ৩০ দিনের মধ্যে যদি কোন আপত্তি জমা পড়ে, নিবন্ধক তা যাচাই করবেন।
- বিবাহ নিবন্ধন: আপত্তি না থাকলে, ৩০ দিনের মেয়াদ শেষে নিবন্ধক বিবাহ নিবন্ধন করবেন।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- নির্ধারিত ফর্ম পূরণ: নিবন্ধকের কার্যালয় থেকে নির্ধারিত ফর্ম সংগ্রহ করে তা পূরণ করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা: ফর্মের সাথে নির্ধারিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
- ফি প্রদান: নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।
- আবেদন জমা: পূরণকৃত ফর্ম, কাগজপত্র এবং ফি সহ আবেদন জমা দিতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- বর ও কনের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- বর ও কনের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- বর ও কনের বয়সের প্রমাণপত্র (যেমন, এসএসসি সার্টিফিকেট)
- বর ও কনের পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- বর ও কনের পিতা-মাতার সম্মতিপত্র (যদি বর বা কনের বয়স ২১ বছরের কম হয়)
- বিবাহের কাবিননামা
- গাজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত সনদপত্র (যদি বিবাহ মুসলিম আইন অনুযায়ী হয়)
বিবাহ নিবন্ধনের সুবিধা:
- আইনি স্বীকৃতি: বিবাহ নিবন্ধনের মাধ্যমে বিবাহ আইনি স্বীকৃতি লাভ করে।
- পারিবারিক অধিকার: বিবাহিত নারী স্বামীর সম্পত্তিতে অধিকার লাভ করে।
- সন্তানের অধিকার: বিবাহিত দম্পতির সন্তান আইনি সুবিধা লাভ করে।
- সামাজিক স্বীকৃতি: বিবাহ নিবন্ধনের মাধ্যমে সমাজে বিবাহের স্বীকৃতি লাভ করা যায়।
0 Comments: