জমি হস্তান্তরের পর নতুন মালিকের নাম খতিয়ানে প্রতিস্থাপন করার প্রক্রিয়াকে নামজারি বা মিউটেশন বলা হয়। জমি কেনা, বেচা, দান, উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ, বন্ধক, ভাগ, ওয়াকফ, খাসজমি বন্দোবস্ত, বিনিময়, এবং অন্যান্য উপায়ে জমি হস্তান্তর হতে পারে। হস্তান্তরের পর নামজারি করা বাধ্যতামূলক। নামজারি না করলে জমির মালিকানা প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে সমস্যা হয়।
নামজারির জন্য আবেদন করার সময় যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হয়:
- আবেদন ফর্ম: সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে নির্ধারিত আবেদনপত্র সংগ্রহ করে পূরণ করতে হবে।
- আবেদনকারীর পরিচয়পত্র:
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- পাসপোর্ট
- ড্রাইভিং লাইসেন্স
- মালিকানার প্রমাণপত্র:
- রেজিস্ট্রি দলিল
- ওয়ারিশ সনদ
- বন্টননামা
- দানপত্র
- বিনিময় দলিল
- অন্যান্য বৈধ দলিল
- খতিয়ান:
- মৌজা খতিয়ান
- দাগ খতিয়ান
- সিএস খতিয়ান
- ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ:
- সর্বশেষ পরিশোধের রশিদ
- অথবা, বকেয়া থাকলে বকেয়া পরিশোধের চালান
- নোটিশ ফি:
- নির্ধারিত নোটিশ ফি
- আবেদনকারীর ছবি:
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি
- সাক্ষীর তথ্য:
- দুইজন সাক্ষীর নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর
- অন্যান্য কাগজপত্র:
- প্রয়োজনে, মামলার রায়, ডিক্রি, অথবা অন্যান্য আইনি দলিল
- খাসজমি বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে, অনুমোদনপত্র
- অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষেত্রে, ক্ষতিপূরণের রশিদ
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- সকল কাগজপত্রের স্ক্যান কপি অনলাইনে আবেদনের সাথে আপলোড করতে হবে।
- মূল কাগজপত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে না।
- আবেদন ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।
- আবেদন সাবমিট করার পর একটি অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ পাওয়া যাবে।
- নামজারির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক মাস সময় লাগতে পারে।
0 Comments: